Wednesday, September 24, 2025
বাঙালি কাউন্টডাউন
HomeScrollপ্যাঙ্গোলিনের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

প্যাঙ্গোলিনের নতুন প্রজাতি আবিষ্কার করলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

ওয়েব ডেস্ক: প্যাঙ্গোলিনের (Pangolin) নতুন প্রজাতি খুঁজে পেলেন জুলজিক্যাল সার্ভে অফ (ZSI) ইন্ডিয়ার গবেষকরা। এই প্রজাতির নাম ইন্দো-বার্মিজ প্যাঙ্গোলিন (Indo Burmese Pangolin) যার বিজ্ঞানসম্মত নাম রাখা হয়েছে ম্যানিস ইন্দো বার্মানিকা। বিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করছে এই প্রজাতিটি। প্রাণিবিদদের মতে, ৩৪ লক্ষ বছর আগে চাইনিজ প্যাঙ্গোলিন (ম্যানিস পেন্টাড্যাক্টাইলা) থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল ইন্দো-বার্মিজ প্যাঙ্গোলিন। প্রজাতিটির উপর ইন্দো-বার্মা অঞ্চলের মাটি ও জলবায়ুর প্রভাব পড়েছিল বলে ধারণা গবেষকদের। এই অঞ্চল জীব-বৈচিত্র্যের প্রাচুর্যের জন্য পরিচিত।

মাইটোকন্ড্রিয়াল জিনোম পরীক্ষা করতে অত্যাধুনিক জিনোম প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছিল এই গবেষণায়। গবেষণার প্রধান ডঃ মুকেশ ঠাকুর বলেন, “লুকনো জীব-বৈচিত্র্য খুঁজে বের করতে আধুনিক জিনোম প্রযুক্তি কতটা শক্তিশালী ভূমিকা তার প্রমাণ এই গবেষণা। ইন্দো-বার্মিজ প্যাঙ্গোলিন এশিয়ান প্যাঙ্গোলিন (Asian Pangolin) সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান শুধু বাড়ায় না, সেই সঙ্গে অঞ্চলভিত্তিক সংরক্ষণের গুরুত্ব বুঝিয়ে দেয়।”

আরও পড়ুন: ‘ইন্দিরা গান্ধী দুর্বল মহিলা ছিলেন’, ‘ইমারজেন্সি’ মুক্তির আগে মন্তব্য কঙ্গনার

এই গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Calcutta) পিএইচডি স্কলার লেনরিক কনচোক ওয়াংমো। অরুণাচল প্রদেশ থেকে হলোটাইপ এবং প্যারাটাইপ নমুনা খুঁজে পেতে বিরাট ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ওয়াংমো বলেন, “এমন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে অবদান রাখতে পারা সম্মানের। প্যাঙ্গোলিন সংরক্ষণে এই প্রজাতি এক নতুন দিশা দিল। চোরাশিকার এবং বাসস্থান নষ্ট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার গুরুত্বতেও আলোকপাত করল।”

জুলজিক্যাল সার্ভের প্রধান ডঃ ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় এই আবিষ্কারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, জীব-বৈচিত্র্যের খোঁজ ও সংরক্ষণের গুরুত্ব বুঝতে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তা দর্শায় এই গবেষণা। ইন্দো-বার্মা অঞ্চলে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য অক্ষুণ্ণ রাখতে ইন্দো-বার্মিজ প্যাঙ্গোলিন সংরক্ষণ করতে হবে।

দেখুন অন্য খবর:

&nbsp ,

Read More

Latest News